- শেখ মামুনুর রশীদ মামুনঃ
আজ বাংলা ১৪৩২ সালের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ। গোটা জাতি যখন উল্লাসে, নতুন স্বপ্নে পথচলা শুরু করছে, তখন একজন সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক দাঁড়িয়ে আছেন এক নীরব, অদৃশ্য।অথচ নির্মম যুদ্ধের ময়দানে
—যেখানে প্রতিপক্ষ কেবল,
অন্যায় নয়, সমাজের মুখোশ পরা সুবিধাবাদীরাও।
একজন জাত সাংবাদিক—যার রক্তে সত্য, যার কলমে ন্যায়, তার জীবনে বন্ধুর জায়গা নেই। আছে কেবল বিবেক, দায়িত্ব আর নির্মম বাস্তবতা। নিজের পরিবার বা কাছের লোক—যেই হোক না কেন, অপরাধ করলে জাত সাংবাদিকের কলম থেকে রেহাই নেই। তার কাছে সম্পর্ক নয়, সত্যই বড়।
এই সত্য প্রকাশের পথটা কি সহজ? না! এর বিনিময়ে তাকে পেতে হয় অপমান, মামলা, হামলা, হুমকি, প্রাণনাশের আশঙ্কা! অথচ যে সমাজে মিথ্যাবাদীদের দেওয়া হয় পুরস্কার, সেখানে সত্যবাদীরা হয়ে পড়ে একা, নিঃসঙ্গ এবং চক্রান্তের লক্ষ্য বস্তু।
আমরা কি ভুলে গেছি—সাংবাদিকতা শুধু খবর লেখা নয়, এটা জাতির বিবেক জাগানোর অস্ত্র? আজ খেয়াল করুন—সাংবাদিকতা যেন হয়ে উঠেছে সুবিধাবাদীদের প্রচারণা মাধ্যম। সেখানে একজন সৎ, আপোষহীন সাংবাদিক হয়ে পড়ে “বিপজ্জনক!” কেন? কারণ সে সত্য বলে। কারণ সে ভয় পায় না। কারণ তার রক্তে আগুন, এবং সেই আগুনে পুড়ে যায় মুখোশ-ধারী চক্র।
আমরা যারা এই জাত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াই না, বরং চুপ করে দেখি তাদের অপমান, হামলা, এবং ষড়যন্ত্র—আমরাই কি এই অন্যায়ের নিরব সহযোগী নই?
আজ পহেলা বৈশাখে, যখন সবাই শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত, তখন আমি প্রশ্ন রেখে গেলাম—একজন প্রকৃত সাংবাদিককে যখন প্রতিদিন শত্রুদের ভিড়ে লড়তে হয়, তখন দায়টা কার? রাষ্ট্রের? সমাজের? না আমাদের নীরবতার?
একজন জাত সাংবাদিকের লড়াই,কোনো নাটকীয়তা নয়—এটা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো এক অগ্নি-পরীক্ষা।
এ লড়াইয়ে তাকে একা ফেলে দিলে, হারবে দেশ। হেরে যাবে সত্য।
তাই বলি—তুমি কলম ধরো, আমরা আছি তোমার পাশে!