বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘেঁষে বয়ে চলা মরা নদী,এবং কংশ নদীতে মাছ শিকার করে, জীবিকা নির্বাহ করতেন শত শত কার্ডধারী জেলে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এই নদী গুলোতে মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের জীবনে এক নতুন সংকট নেমে এসেছে। একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্র তাদের জীবিকার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। মাছ শিকার করতে গিয়ে জেলেরা এখন নানা ধরনের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা নৌকা ভাঙা, সরঞ্জাম ধ্বংস করা, এবং শিকার করা জেলেদের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মত অমানবিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হুমকি-ধামকিও দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জেলেরা আর সহ্য করতে পারছেন না, এবং নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে তারা এখন একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও, কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি চৌকস টিম পাঠিয়ে সিন্ডিকেটের অবৈধ কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে এবং সাধারণ কার্ডধারী জেলেদের মাছ শিকার কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারে সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে তোয়াক্কা না করে, পুনরায় জেলেদের নৌকা ও সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে এবং তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
নিরুপায় হয়ে এখন জেলেরা দাবি করছেন যে, তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তাঁরা দ্রুত আইনগত ভাবে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন। অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন। তাদের দাবি, যতদিন না তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করা হবে, ততদিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ পরিস্থিতিতে, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিশেষ আহ্বান জানানো হয়েছে যে, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যাতে এই আন্দোলন ভয়াবহ রূপ না নেয়। আন্দোলন কারীরা সতর্ক করেছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় কিন্তু প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এখন সময় এসেছে, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জেলেদের ন্যায্য অধিকার আদায় নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের। যদি না হয়, তবে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষ ও অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে, যার দায় শেষ-মেষ প্রশাসনেরই নিতে হবে।