শেখ মামুনুর রশীদ মামুনঃ
আমাদের দেশের সংকটময় মুহূর্তে, যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তার শঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার জন্য বিভিন্ন সংকট সৃষ্টি হয়, তখন দেশের প্রকৃত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপ্রতিরোধ্য। এই সময়, প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে সেনাবাহিনীর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।
সেনাবাহিনী আমাদের দেশের একমাত্র শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকে। সংকটকালীন সময়ে তাদের ত্যাগ, আত্মনিবেদন এবং সংকট মোকাবিলায় দক্ষতা আমাদের জন্য আশার আলো হিসেবে কাজ করে। তাদের সাহসিকতা, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্ব দেশকে স্থিতিশীল রাখার প্রধান শক্তি।
এখনো বহুবার ইতিহাসে আমরা দেখেছি, যখন দেশ চরম সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, তখন সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব পালন করে শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, এবং অন্যান্য সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবেশগত দুর্যোগ বা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে যখন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেনাবাহিনী তাদের সেবা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
অতএব, এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে, আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখা এবং তাদের কাজকে সমর্থন করা। সেনাবাহিনী শুধু বাহিনী নয়, এটি আমাদের নিরাপত্তার প্রতীক, আমাদের দেশের আত্মবিশ্বাসের উৎস। তারা আমাদের সংকটের সময়ে সাহস এবং স্থিতিশীলতার একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু।
তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি এবং সমর্থন তাদের শক্তিকে আরও দৃঢ় করবে, যাতে তারা দেশের সেবা আরও ভালভাবে করতে পারে। তাই, দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত এই কঠিন সময়ে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানো, তাদের কাজে সমর্থন জানানো এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। আমাদের ঐক্য, বিশ্বাস এবং সমর্থনই আমাদের দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।