ঘোড়াঘাটে র‌্যাবের জালে জীনের বাদশা আটক।

অনলাইন নিউজ ডেক্সরিপোটঃ- দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা কথিত জিনের বাদশা মোঃ ইমরান হোসেন অবশেষে আটক হয়েছে,র‌্যাব প্রাতিষ্ঠানিক সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষক মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে ১১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ ১৭:৩০ ঘটিকায় দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন হাটপাড়া এলাকা হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা কথিত জিনের বাদশা মোঃ ইমরান হোসেন ইমন (২৫), পিতা-মৃত আক্তার নবাব খান, সাং-হাটপাড়া(হায়দার নগর), থানা-ঘোড়াঘাট, জেলা-দিনাজপুরকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, আনুমানিক একমাস পূর্বে ভুক্তভোগী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম তার এক প্রতিবেশির পরামর্শে কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে যায়। ভুক্তভোগী চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজ নিজে জীনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে রোগ নিরাময় করবে এবং এর ফলে ভুক্তভোগীকে সে জিনের অনেক ধনসম্পদ, গুপ্তধন পাইয়ে দেবে। কিন্তু শর্ত দেয় যে, তাকে ৫ লক্ষ টাকা আগে দিতে হবে। সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম জিনের বাদশা ভেবে তাকে ৩ লক্ষ টাকা দেয় এবং গুপ্তধন পাওয়ার পর ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ফোন বন্ধ করে রাখে। এরপর ভুক্তভোগী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, সাং-পূর্বদেবীপুর, থানা ও জেলা- জয়পুরহাট, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পে এসে অভিযোগ করলে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে র‌্যাব ক্যাম্প ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে কথিত জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ ইমরান হোসেন কবিরাজের অবস্থান শনাক্ত করে কথিত জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ ইমরান হোসেন কবিরাজকে প্রতারণার বিভিন্ন উপকরণসহ গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় ও ইমরান হোসেন কবিরাজের প্রধান সহযোগী মোঃ রাফসান পলাতক থাকে। ধৃত আসামি মোঃ ইমরান হোসেন কবিরাজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ ও অন্যান্য মাধ্যমে জিনের কলসি ভর্তি সোনাদানা দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে স্বীকার করে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।াট থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *